দুঃস্থ সাংবাদিকদের টাকা হরিলুট করে খাচ্ছে আওয়ামী দলদাস সাংবাদিকরা
লিখেছেন লিখেছেন এফ শাহজাহান ০৮ আগস্ট, ২০১৩, ০৬:০৬:৫০ সন্ধ্যা
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে সাংবাদিকদের জন্য গঠিত সাংবাদিক কল্যাণ তহবিল থেকে প্রদত্ব চার জন সাংবাদিকের দুই ল টাকা নিয়ে দিনাজপুরে আওয়ামী সাংবাদিকদের হরিলুট করে খেয়েছেন। দুঃস্থদের টাকা দিনাজপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতাদের ভাগবাটোয়ারার ঘটনায় প্রকৃত অস্বচ্ছল সাংবাদিকদের মধ্যে ব্যাপক ঘৃনার সঞ্চার হয়েছে। দেশের অন্যান্য জেলাতেও দুস্থ সাংবাদিকদের টাকা ভাগিয়ে নিয়েছেন আওয়ামী লীগ পন্থী দলদাস সাংবাদিকরা। নওগাঁয় সরকারী সংবাদ সংস্থা বাসস এর চাকুরীজীবী হয়ে একজন সাংবাদিক নিয়েছেন অস্বচ্ছল সাংবাদিকের টাকা। সরকার যখন অষ্টম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করছে ঠিক থকনই সরকারী সাংবাদিকদের এভাবে দুস্থ অসহায় সাংবাদিককের টাকা ভাগবাটোয়ারা করে খাওয়ায় প্রকৃত অস্বচ্ছল সাংবাদিকরা চরম ােভ প্রকাশ করেছেন। তারা প্রশ্ন করেছেন সরকারী চাকুরীজীবী সাংবাদিক কীভাবে দুস্থ সাংবাদিকের টাকা গ্রহণ করেন তা হিসেবে মিলে না।
দিনাজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের(একাংশের) সভাপতি ওয়াহেদুল আলম আটির্ষ্ট ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন হোসেন খরচের কথা বলে প্রত্যেক জনের কাছ থেকে পঁচিশ হাজার টাকা করে এক ল টাকা জোরপূর্বক কেটে নিয়েছে। এ নিয়ে দিনাজপুরের সাংবাদিক সমাজে ােভের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষ এই ঘটনায় আওয়ামী লেজুড়বৃত্তিকারী সাংবাদিক নেতাদের প্রতি ধিক্কার জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত ২৭ জুলাই তথ্য মন্ত্রনালয় সাংবাদিক কল্যাণ তহবিল থেকে দিনাজপুরের চার জন দুঃস্থ সাংবাদিক নুরুল হুদা দুলাল (দৈনিক তিস্তা), হারুন-উর-রশিদ ফানু (দৈনিক অন্তর কন্ঠ) ,হারুনুর রশিদ হারুন (দৈনিক তিস্তা) ও মিজানুর রহমান মিজান (দৈনিক আজকের প্রতিভা) কে পঁঞ্চাশ হাজার টাকা করে চেক প্রদান করা হয়। দিনাজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশের) সভাপতি ওয়াহেদুল আলম আটির্ষ্ট ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন হোসেন ঢাকায় তথ্য মন্ত্রণালয়ে হাজির হয়ে চেক গুলো গ্রহন করেন। গত ৩১ জুলাই এই চেক গুলো দিনাজপুর প্রেস কাব উক্ত চার সাংবাদিককে প্রদান করা হয়। এর আগে তাদের কাছ থেকে দিনাজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশের) সভাপতি ওয়াহেদুল আলম আটির্ষ্ট ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন হোসেন খরচের কথা বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে জোরপুর্বক পঁচিশ হাজার টাকা করে চেক লিখে নেয়। এ নিয়ে চার জনের মাঝে ক্ষোভ সৃর্ষ্টি হয়েছে। তারা ভয়ে কাউকে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেনা। তবে তারা এর সততা স্বীকার করেছন।
এ ব্যাপারে হারুন-উর-রশিদ ফানু জানান,৩১ জুলাই সকালে তার কাছ থেকে খরচের কথা বলে সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জোর করে ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের পঁচিশ হাজার টাকার একটি চেকে সই করে নিয়ে যায়। তার পর বিকেলে পঁঞ্চাশ হাজার টাকার চেক প্রদান করে। অন্যান্যরাও একই কথা জানিয়েছেন।
এব্যাপারে দিনাজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মিলনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান,আমি খরচের কথা বলে টাকা কেটে নেয়ার কথা শুনেছি। তবে আমার সময় সাংবাদিক আব্দুর রহমান এবং নুর ইসলাম পঞ্চাশ হাজার করে এক ল টাকার চেক গ্রহন করে। সে সময় তাদেরকে সাংবাদিক ইউনিয়নের খরচায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের কাছ থেকে কোন টাকা নেয়া হয়নি।
এব্যাপারে দিনাজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ জুয়েলের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সাংবাদিক নেতারা দুঃস্থ সাংবাদিকদের টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে খায় তাদেরকে কি ভাবে ধিক্কার জানাব তা আমার জানা নেই। আমার মনে হয় তাদেরকেই দুঃস্থ হিসাবে এই সহায়তা প্রদান করা হলে সাংবাদিক সমাজকে আজকের এই ধিক্কার পেতে হতোনা। দিনাজপুরের সাংবাদিক সমাজ এই ঘটনাকে ধিক্কার জানিয়েনেছ। তারা এর তদন্ত করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেছেন। দেশের অন্যান্য স্থানেও দুস্থ ,অসহায় প্রতিবন্ধী ও অস্বচ্ছল সাংবাদিকদের নামে আওয়ামী লেজুড়বৃত্তি করা দলকানা সাংবাদিকরা সরকারী টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
বিষয়: বিবিধ
১৯৩৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন